রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
রোগীদের চিকিৎসার নামে গোপনাঙ্গে ও চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়াসহ মলমূত্র খাওয়ানো এবং মারধরের অভিযোগ উঠেছে রংপুর নগরীর ‘প্রধান মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র’র বিরুদ্ধে।
এমন অভিযোগে মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে মেডিকেল পূর্বগেট এলাকায় ওই মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন রোগীদের স্বজন ও স্থানীয়রা।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা।
মাদকাসক্ত নিরাময়ের নামে অপচিকিৎসাসহ বেশকিছু অনিয়ম থাকায় কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও রোগীদের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার রাতে সেখানে অবস্থানরত এক রোগীকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই রোগীর কয়েকজন স্বজন মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে যান। এ সময় অন্য রোগীরা চিকিৎসার নামে নিজেদের ওপর চলা শারীরিক নির্যাতনের ফলে সৃষ্টি হওয়া ক্ষত দেখিয়ে উদ্ধারের আকুতি জানান। নির্যাতনের সময় অনেককে বিবস্ত্র করে গোপনাঙ্গ ও চোখে মরিচের গুঁড়া দেয়াসহ মলমূত্র খাওয়ানোর অভিযোগ করেন রোগীরা।
এদিকে চিকিৎসার নামে চলা রোমহর্ষক নির্যাতনের খবর পেয়ে অন্যান্য রোগীর স্বজনরাও রাতেই ছুটে এসে কেন্দ্রের অভিযুক্ত লোকজনের ওপর চড়াও হন। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্তরা কৌশলে পালিয়ে যান।
পুলিশ গিয়ে শারীরিক নির্যাতনের আলামত পাওয়ায় রোগীদের সেখান থেকে উদ্ধারের পর উপস্থিত স্বজনদের কাছে তাদের হস্তান্তর করে।
খবর পেয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারাও সেখানে যান। ১০ জন রোগীর চিকিৎসার অনুমতিসহ এক সময় প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স থাকলেও তা নবায়ন করা হয়নি বলে জানান কর্মকর্তারা।
সেখানে মোট ২১ জনকে গাদাগাদি করে ছোট্ট দুটি ঘরে মেঝের ওপর রাখা হত। থাকার ও রান্নাঘরসহ পুরো কেন্দ্রটির অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখতে পান কর্মকর্তারা। পরে মাদকাসক্ত নিরাময়ের নামে অপচিকিৎসাসহ বেশকিছু অনিয়ম থাকায় কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
রংপুর মহানগর পুলিশের অপরাধ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শহিদুল্লাহ কাওসার জানান, পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সূএ-জাগো নিউজ।